আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন কে পি শর্মা অলি। তার নেতৃত্বেই দেশটিতে শুরু হতে চলেছে নতুন জোট সরকারের যাত্রা। এবার নিয়ে তৃতীয়বারের মতো নেপালের প্রধানমন্ত্রী হলেন তিনি। গত শুক্রবার নেপালের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক মাওবাদী নেতা পুষ্প কমল দহল ওরফে প্রচণ্ড আস্থা ভোটে হেরে যান। এরপর নতুন সরকার গঠনের পট প্রস্তুত হয়। এর আগে ২০১৫ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৬ সালের জুলাই পর্যন্ত প্রথম দফায় প্রধানমন্ত্রী ও ২০১৮ সালে দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন অলি।
দ্য হিন্দু জানায়, রবিবার রাজনৈতিক দল সিপিএন-ইউএমএল ও নেপালি কংগ্রেসের (এনসি) জোট সরকারের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অলিকে নিয়োগ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পৌদেল। ৭২ বছর বয়সি অলি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ডের স্থলাভিষিক্ত হলেন। আজ সোমবার কেপি শর্মা অলিসহ নতুন মন্ত্রিসভার মন্ত্রীরা শপথ গ্রহণ করবেন।
নেপালে ২০০৮ সালে ১৩৯ বছরের রাজতন্ত্র অবসানের পর থেকেই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চলে আসছে। ওই সময় থেকে এখন পর্যন্ত অলির নতুন সরকার হবে দেশটির ১৪তম সরকার। ৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ডের জোট সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয় সবচেয়ে বড় শরিক দল অলির নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট পার্টি ইউনিফাইড মার্কসিস্ট লেনিনিস্ট (ইউএমএল)। এরপর সংবিধান অনুযায়ী বাধ্য হয়েই প্রচণ্ডকে পার্লামেন্টে আস্থাভোট ডাকতে হয়।
নেপালের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস (এইচওআর)- এ আসন রয়েছে ২৭৫টি। কোনও প্রধানমন্ত্রী আস্থাভোটে জিতে ক্ষমতা ধরে রাখতে গেলে প্রয়োজন হয় কমপক্ষে ১৩৮টি ভোট। কিন্তু গত শুক্রবারের আস্থাভোটে উপস্থিত ২৫৮ আইনপ্রণেতার মধ্য থেকে মাত্র ৬৩টি ভোট পেয়েছেন পুষ্প কমল দহল ওরফে প্রচণ্ড। তার বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৯৪ জন আইনপ্রণেতা। আর একজন ভোটদানে বিরত ছিলেন।
প্রচণ্ডের জোট সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে ইউএমএল হাত মেলায় নেপালের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে। নেপালি কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট শের বাহাদুর দেউবা এরপর দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অলিকে অনুমোদন দেন।