আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরে দুই সহোদর হাফেজকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের স্থানীয় প্রশাসন শনাক্ত করেছে এবং অচিরেই তাদের গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। আজ বেলা ১১টায় কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত পরিচয়পর্ব ও মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান ও ইউপি সদস্য অজিত কুমার বিশ্বাসকে গ্রেফতারে র্যাব কী ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জানতে চাইলে কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, র্যাবের ইনটেলিজেন্স উইং বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। দেশের যেকোনো জায়গায় যেকোনো প্রান্তে যেকোনো ঘটনা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব ঘটনা নিয়ে কাজ করে।
অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের হাতে সোপর্দ করে থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অংশ হিসেবে র্যাব এঘটনায় কাজ করছে। অচিরেই এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে। আসন্ন উপজেলা নির্বাচন, সব সময় নির্বাচনকে ঘিরে অস্ত্রের ঝনঝনানি হয়। এক্ষেত্রে র্যাবের তৎপরতা কী? সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, সমগ্র দেশে চার পর্বে উপজেলা নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
একটি অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির জন্য র্যাব আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে। পোশাকের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও র্যাব সদস্যরা কাজ করছে। এদিকে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান ও ইউপি সদস্য অজিত কুমার বিশ্বাসকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি কালি মন্দিরের প্রতিমায় আগুনের খবর পেয়ে জড়ো হন এলাকাবাসী। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ে নির্মাণ কাজ করা ৭ শ্রমিককে সন্দেহ করেন স্থানীয়রা। পরে স্কুলে গিয়ে তাদের অবরুদ্ধ করে বেঁধে মারধর করা হয়। এতে গুরুতর আহত হলেও শ্রেণিকক্ষে আটকে রাখা হয়।
প্রথমে থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন চেষ্টা করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হন। পরে জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের অতিরিক্ত সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে নওপাড়া ইউনিয়নের চোপেরঘাট এলাকার শাহজাহান খানের দুই ছেলে আশরাফুল ও এরশাদুলকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।