Saturday, November 23, 2024
Homeশিক্ষাঢাবির ৩০০ কক্ষ ভাঙচুর হয়েছে, জানালেন উপাচার্য

ঢাবির ৩০০ কক্ষ ভাঙচুর হয়েছে, জানালেন উপাচার্য

আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল এবং স্যার এ এফ রহমান হল পরিদর্শন করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। শুক্রবার তিনি হল দুটি পরিদর্শন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পরিদর্শন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে প্রায় ৩০০ কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হলসমূহের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছ থেকে আর্থিক বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্নের মাধ্যমে বিভিন্ন হলের কক্ষগুলো সংস্কার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হবে বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, অর্থপ্রাপ্তির বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। এটা ইউজিসি থেকে আসবে। এরপর পিপিআর মেনে টেন্ডার হবে। সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে হলগুলো খুলে দেওয়া হবে। গত ১৬ জুলাই সংঘর্ষের শুরুর ব্যাপারে উপাচার্য বলেন, সেদিন ৩টার দিকে শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল হলপাড়াখ্যাত বঙ্গবন্ধু হল, কবি জসীমউদ্দিন হলের দিকে আসে। দুপুরের সময় প্রভোস্টরাও হলে ছিল না, প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যদের জানা ছিল না। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি প্রভোস্টদের টেলিফোন করেছি। প্রক্টরিয়াল টিমকেও বলি সেখানে যাওয়ার জন্য। ততক্ষণে সেখানে মারামারি শুরু হয়ে যায়। এরপর আমরা দেখলাম, সবার হাতে লাঠি। এ সময় প্রক্টরিয়াল টিম সেখানে পৌঁছাতে পারেনি। প্রভোস্টরা বিভিন্ন জায়গায় আটকা পড়ে গেছে।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, সেখানে গিয়ে আমরা বস্তুত অর্থে মারামারি থামাব…?। কারণ, দু’পক্ষের হাতেই লাঠি এবং শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগ অপরিচিত, প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যদেরও তারা চেনে না। মুহূর্তের মধ্যে বিষয়টা হয়ে গেল। মাকসুদ কামাল বলেন, আমাদের প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি ছিল না। আমাদের যদি জানা থাকত একটা মিছিল এদিকে আসবে। তখন আমাদের প্রস্তুতিটা থাকত। আকস্মিকভাবে ঘটনা ঘটে গেল। আর মুহূর্তের মধ্যে মারামারি শুরু হয়ে গেল। আমাদের যেহেতু আগে জানা ছিল না মিছিলটি এইদিকে আসবে। সেই ক্ষেত্রে এ ধরনের মবকে কন্ট্রোল করা এবং সবার হাতে লাঠি, আমাদের চেষ্ঠা সত্ত্বেও…। প্রভোস্টরা রুমে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন, প্রক্টরিয়াল টিম চেষ্টা করেছে।

উপাচার্য বলেন, আমি রুম থেকে বের হয়ে সেদিকে যাব দেখলাম সবার হাতে লাঠি। ততক্ষণে আমি সব প্রভোস্টের সঙ্গে কথা বলেছি। হাউজ টিউটরদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। প্রক্টরিয়াল টিমকে জনে জনে টেলিফোন করে জানতে চেয়েছি, পরিস্থিতি কী। তখন আমাদের মলচত্বর থেকে মবটা চলে গেছে সামনের দিকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে যতটুকু করণীয় ছিল, আমাদের করণীয়-দায়িত্বটুকু আমরা পালন করেছি। পরিদর্শনকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক আবু হোসেন মুহম্মদ আহসান এবং সংশ্লিষ্ট হলের প্রাধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments