আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রধান ভবনের (মেইন বিল্ডিং) দ্বিতীয় তলার ২৫০ নাম্বার রুমে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (০৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত সোয়া দুইটা নাগাদ ইলেকট্রনিক শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ঈদের ছুটিতে ওই রুমটির সকল শিক্ষার্থী বাড়ি চলে গিয়েছিল। এই কারণে রুমটি তালাবদ্ধ ছিল। আগুন লাগার ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে হলে থাকা শিক্ষার্থীদের তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে ওই রুমের শিক্ষার্থীদের বই, সার্টিফিকেট, তিনটি ট্রাঙ্ক, টেবিল চেয়ারসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে যায়।
২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগ ও রুমটির আবাসিক শিক্ষার্থী আইয়ুব মোড়ল বলেন, রুমের আমরা সবাই বাড়িতে ছিলাম। আগুন লেগে রুমের বেশ ক্ষতি হয়েছে। লাগেজ, ট্রাঙ্ক, বিছানা সব নষ্ট হয়েছে। আগুন লাগার বিষয়ে হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দীন রানা বলেন, ইলেকট্রনিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে বন্ধ রুমটিতে আগুন লেগে যায়। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা আগুন নেভাতে ছুটে যাই।
১৫-২০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দুর্বল ইলেকট্রনিক লাইন, সাধারণ ক্যাবলে (তার) ভারি ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করার ফলে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। এছাড়াও রুম ছেড়ে যাওয়ার সময় রুমের জিনিসপত্র ঠিক আছে কিনা সেটাও যাচাই করে নেওয়া উচিত ছিল। ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা জানান, আমরা আসার আগেই শিক্ষার্থীরা আগুন নিভিয়ে ফেলে। আপাতত দৃষ্টিতে এটাই মনে হচ্ছে যে ইলেকট্রনিক শর্ট সার্কিটেই আগুন লেগেছে।
এ বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহিম বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে আমি তৎক্ষণাৎ সেখানে গিয়েছি। ফায়ার সার্ভিসকেও বলা হয়েছিল এবং তারা এসেছিল। তবে তার আগেই শিক্ষার্থীরা আগুন নিভিয়ে ফেলেছিল। আগুন লাগার কারণ হিসেবে রুমটিতে শিক্ষার্থীদের অসচেতনতা, ইলেকট্রনিক লাইনে দুর্বলতাকে দায়ী করা হচ্ছে। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
তিনি আরও বলেন, ইলেকট্রনিক লাইনে দুর্বলতা থাকলে হল অফিসে রিপোর্ট করতে হয়, হলে ইলেকট্রিশিয়ান আছে। তারা ঠিক করে দেবে। এছাড়াও ছুটিতে বাড়িতে যাওয়ার আগে রুমের কোথায় কী আছে সেসব গুছিয়ে যাওয়াও তো শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব। এখন তাদের যে ক্ষতি হয়েছে সেটা তো পুষিয়ে উঠা বেশ কষ্টের। অনেকের তো সার্টিফিকেটও পুড়ে গেছে। বিষয়টা আসলেই কষ্টের। ছুটিতে বা রুম থেকে বাড়িতে যাওয়ার আগে শিক্ষার্থীদেরকে রুমের লাইট, ফ্যান ও ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র ঠিক আছে কিনা তা যাচাই করতে হবে এবং এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে।