আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ নির্বাচনী সমাবেশে বন্দুক হামলার শিকার হয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় দেশটির পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলার শহরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তিনি ডান কানে গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় ট্রাম্প অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও সেখানে গুলিতে নিহত হয়েছেন এক ব্যক্তি। তার নাম কোরি কম্পারেটর। তার বয়স ৫০ বছর। দুই সন্তানের জনক কোরি পেশায় ছিলেন দমকলকর্মী। বলা হচ্ছে, পরিবারের সদস্যদের গুলির কবল থেকে বাঁচাতে গিয়ে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
কোরি কম্পারেটরের মৃত্যুতে তার মেয়ে অ্যালিসন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তাতে তিনি লিখেছেন, “বাস্তব জীবনের একজন প্রকৃত সুপারহিরোর মৃত্যু হয়েছে।” জানা গেছে, সমাবেশস্থলের কাছে একটি একতলা ভবনের ছাদ থেকে মঞ্চ লক্ষ্য করে পরপর কয়েকটি গুলি করেন বন্দুকধারী এক যুবক। তার নাম থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস। এতে ট্রাম্পের ডান কানের ওপরের অংশে ফুটো হয়ে যায়। এ হামলার ঘটনায় দর্শক সারিতে থাকা কোরি নিহত হন। আরও দু’জন গুরুতর আহত হন।
হামলার সময় অ্যালিসন মা–বাবার সঙ্গে ওই সমাবেশে ছিলেন। তিনি লিখেন, “তিনি (তার বাবা) আমার মা ও আমাকে মাটিতে ছুড়ে ফেলেন। আমাদের দিকে উড়ে আসা বুলেট থেকে আমাকে রক্ষা করেন।” কোরিকে ‘সবচেয়ে ভালো বাবা’ বলে উল্লেখ করেন অ্যালিসন। কোরি সব সময় সবাইকে সহায়তা করার জন্য প্রস্তুত থাকতেন। দ্রুত সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়তে পারতেন বলেও মন্তব্য করেন তার মেয়ে। হামলায় আহত দু’জনের পরিচয় জানানো হয়েছে। তারা হলেন- ডেভিড ডাচ (৫৭) ও জেমস কোপেনহাভের (৭৪)।
পেনসিলভানিয়া স্টেট পুলিশ রবিবার জানায়, তারা দু’জনই পেনসিভানিয়ার বাসিন্দা। দু’জনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। এদিকে, মার্কিন তদন্ত সংস্থা জানিয়েছে- ২০ বছর বয়সী হামলাকারী ওই যুবক ক্রুকস রিপাবলিকান পার্টির নিবন্ধিত ভোটার ছিলেন। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ক্রুকস পেনসিলভানিয়ার বেথেল পার্ক এলাকার বাসিন্দা। বাটলার থেকে এই শহরের দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার। তবে কেন ক্রুকস এই হামলা চালালেন, রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সে সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।