আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ অবিরাম বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ভারতের জম্মু-কাশ্মীর। বুধবার ভোরে অর্ধকুমারী এলাকায় মাতা বৈষ্ণোদেবীর যাত্রাপথে ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনায় অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ২৩ জন। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও কয়েকজন আটকে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধার অভিযান।
গত তিন দিন ধরে টানা বর্ষণের ফলে জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন জেলায় হড়পা বান ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে। এতে বহু সেতু ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। উদ্ধার কাজে একযোগে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, সেনাবাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবীরা।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত মাত্র সাড়ে ছয় ঘণ্টায় ২২ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে দক্ষিণ কাশ্মীরের সঙ্গম এলাকায় ঝিলম নদীর পানি বিপজ্জনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় বন্যার উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে জম্মু সিটি, আরএস পুরা, সাম্বা, আখনুর, নাগরোটা, বিজয়পুর, উধমপুর ও কাঠুয়ার কিছু অংশে। বিপর্যয়ের কারণে জম্মু ডিভিশনের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আজ বুধবার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষা দপ্তর সব পরীক্ষা স্থগিত করেছে। একই কারণে বৈষ্ণোদেবীর যাত্রাও আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এক্সে লিখেছেন, “প্রবল বৃষ্টিপাতে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বহু পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ফিক্সড লাইন, ওয়াইফাই, ইন্টারনেট অ্যাপস কিছুই সঠিকভাবে কাজ করছে না। ২০১৪ ও ২০১৯ সালের ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর আর কখনও এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়নি।”