Friday, September 20, 2024
Homeআন্তর্জাতিকজনতার ঢলে শেষ বিদায়

জনতার ঢলে শেষ বিদায়

আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে গতকাল দেশটির সর্বস্তরের মানুষ অশ্রুসিক্ত নয়নে শেষ বিদায় জানিয়েছেন। পরে ৬৩ বছর বয়সী এই নেতাকে দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মাশহাদে সমাধিস্থ করা হয়। জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট রাইসি এ শহরেই জন্ম নিয়েছিলেন।

শেষ বিদায় এবং দাফন অনুষ্ঠানে বিশ্বের প্রায় সব দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স, আলজাজিরা, মেহর নিউজ। খবরে বলা হয়, মৃত্যুর চার দিন পর শিয়াদের মূল সমাধি ইমাম রেজার পবিত্র মাজারে রাইসিকে দাফন করা হয়েছে।

মাজারটি অবস্থিত ইরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মাশহাদে, যা শিয়া ধর্মাবলম্বীদের একটি সৌধ হিসেবে পরিচিত। এই শহরেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন ইরানের এই অতিরক্ষণশীল নেতা। বিকালের এই দাফন উপলক্ষে মাজারের আশপাশের রাস্তাগুলো রাইসির বিশাল ছবি, কালো পতাকা ও শিয়াদের বিভিন্ন প্রতীক দিয়ে সাজানো হয়েছিল।

এদিকে হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত বাকি আটজনের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুুল্লাহিয়ানকে তেহরানের দক্ষিণাঞ্চল শাহর-রে শহরের শাহ আবদুল আজিম মাজারে দাফন করা হয়।

প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, গতকাল সকালে দক্ষিণ খোরাসান প্রদেশের বিরজান্দে নেওয়া হয় রাইসির মৃতদেহ। সেখানে তাঁকে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর ব্যবস্থা করা হয়। রাইসিকে শেষ বিদায় জানাতে ভোররাত থেকেই মাশহাদে জড়ো হতে থাকেন লাখ লাখ মানুষ। শহরের রাস্তায় শোভা পায় রাইসির বড় বড় ছবি, কালো পতাকা এবং শিয়াদের নানা প্রতীক।

একই সঙ্গে বহন করা হয় জাতীয় পতাকা ও রাইসির ছবি সংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড। ইরানিরা এ সময় অশ্রুসজল চোখে ও বেদনাসিক্ত হৃদয়ে রাইসিকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।

এরপর তারা জানাজায় অংশ নেন। এতে দেশটির লাখ লাখ মানুষ ছাড়াও অংশ নেন  বিভিন্ন দেশের নেতা, রাষ্ট্রপতি, রাষ্ট্রদূত এবং আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বরা। জানাজায় সিস্তান ও বেলুচেস্তান, সেমনান এবং ইয়াজদের মতো প্রদেশের মানুষও উপস্থিত ছিলেন। ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ ওয়াহিদিসহ দেশটির সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের কর্মকর্তারাও এতে অংশ নেন। রাইসি পরিবারের সদস্যরাও জানাজায় অংশ নেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments