আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। আর্কটিক অঞ্চলের এই দ্বীপটি এখন ডেনমার্কের নিয়ন্ত্রণে আছে। ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড কিনে নেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে তোলপাড় চলছে আন্তর্জাতিক মহলে।এরই মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ডেনমার্কের কাছ থেকে গ্রিনল্যান্ডের দখল নিতে সামরিক বা অর্থনৈতিক পদক্ষেপের বিষয় নাকচ করতে অস্বীকার করেছেন।
এরপর রাশিয়াও বিষয়টি নিয়ে নিজেদের অবস্থানের বিষয়টি স্পষ্ট করেছে। রাশিয়া বলেছে, তারা পরিস্থিতি মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে। ভয়েস অফ আমেরিকার এক খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ পরিস্থিতি এখনো বিবৃতির স্তরে থাকায় স্রষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘গ্রীনল্যান্ডের পরিস্থিতির নাটকীয় উঠানামা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।’
তিনি বলেন, আর্কটিক জোনটি রাশিয়ার জাতীয় এবং কৌশলগত স্বার্থের একটি অঞ্চল। আর্কটিক অঞ্চলে আমরা উপস্থিত আছি এবং আমরা সেখানেই থাকব’। গ্রিনল্যান্ডের বিস্তীর্ণ ভূখণ্ডের বেশিরভাগই আর্কটিক বলয়ে অবস্থিত। যা ১৯৫৩ সাল থেকে ডেনমার্ক রাজত্বের অংশ; তবে দ্বীপটির নিজস্ব স্বায়ত্বশাসিত সরকার রয়েছে। উল্লেখ্য, গ্রিনল্যান্ড ও পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছুদিন আগে যে ইচ্ছাপোষণ করেছিলেন, সেখান থেকে সরে আসার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
বরং ওই দুই এলাকাকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অভিহিত করে সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে ক্রমাগত হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প। তবে ডেনমার্ক ও পানামা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা কোনো পরিস্থিতিতেই নিজেদের ভূমির মালিকানা ছাড়বে না। এর আগে, প্রতিবেশী দেশ কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্যে বানানোর ইচ্ছা পোষণ করেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।