আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ মধ্যপ্রাচ্য ও বৈশ্বিক মুসলিম ইস্যুতে বরাবরই দৃঢ় অবস্থান নিয়ে কথা বলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। বিশেষ করে গাজা এবং লেবানন নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তার বক্তব্য সবসময়ই ছিল স্পষ্ট ও কড়া। এবার তুরস্কের পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে গাজা এবং লেবানন নিয়ে ইসরায়েলের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিলেন তিনি। এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েল এবং লেবাননের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ায় আমরা তুরস্ক থেকে আনন্দ প্রকাশ করছি। এই চুক্তি শান্তি এবং স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমি বিশেষ করে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন এই চুক্তির শর্ত ভঙ্গ না করে এবং শান্তি বজায় রাখে।
তিনি আরও যোগ করেন, গাজার ধ্বংসযজ্ঞ থামাতে এবং একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় তুরস্ক যেকোনো প্রয়াসে সহায়তা করতে প্রস্তুত। আমরা সবসময় শান্তির পক্ষে কাজ করেছি এবং করব। এর আগে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘেয়ি লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ হওয়ার সংবাদকে স্বাগত জানান। বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইসরায়েল এবং লেবাননের প্রতিরোধ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বুধবার ভোর থেকে এই চুক্তি কার্যকর হয়েছে। চুক্তির আওতায় ইসরায়েল আগামী ৬০ দিনের মধ্যে লেবানন থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করবে। একই সময়ে হিজবুল্লাহ লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে তাদের প্রতিরক্ষা অবস্থান বজায় রাখবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যদি এই চুক্তি কার্যকর থাকে, তাহলে ইসরায়েল এবং ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর মধ্যকার এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের অবসান ঘটবে। গত সেপ্টেম্বরে এই যুদ্ধ ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল। ইসরায়েল তখন লেবাননে ব্যাপক বোমা হামলা এবং স্থল অভিযান পরিচালনা করেছিল। এর আগে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে লেবাননের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। এটি ইসরায়েল এবং লেবাননের দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতের জন্য একটি বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তুরস্কের প্রেসিডেন্টের এ বার্তা এবং লেবানন-ইসরায়েলের এই চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফেরানোর ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।