আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের চালানো হামলার প্রতিশোধ নিতে ৮ অক্টোবর থেকে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে ইসরায়েলকে অন্তত ১৭.৯ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ব্রাউন ইউনিভার্সিটির “কস্টস অব ওয়ার” প্রকল্পের জন্য তৈরি করা প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
ইসরায়েলে হামাসের হামলার বর্ষপূর্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের কস্টস অব ওয়ার প্রকল্প। প্রতিবেদনে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সহায়তার হিসাব দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, ইসরায়েলের আয়রন ডোম ও ডেভিড’স স্লিং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আবারও পূর্ণ করার কাজে এবং বন্দুক ও জেট জ্বালানির জন্য নগদ অর্থ খরচ করার লক্ষ্যে মোট সামরিক সহায়তার ৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে। এরমধ্যে আয়রন ডোম ডেভিডস স্লিং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ করতে ৪০০ কোটি ডলার খরচ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, একই সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কার্যক্রমের জন্য অতিরিক্ত ৪.৮৬ বিলিয়ন ডলারের তহবিল সরবরাহ করা হয়েছে। গাজার মানুষদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইয়মেনভিত্তিক হুথি গোষ্ঠীর চালানো আক্রমণ প্রতিরোধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযানের খরচ চালাতে এ তহবিল সরবরাহ করা হয়।
গবেষক উইলিয়াম ডি হারটাং ও স্টিফেন সেমলারকে সঙ্গে নিয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জন এফ কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্টের অধ্যাপক লিন্ডা জে বিলমেস মার্কিন সহায়তার হিসাব করেছেন। নাইন ইলেভেনের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের চালানো যুদ্ধগুলোর খরচের হিসাবনিকাশও তিনিই করেছিলেন।