আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ নতুন একটি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে পড়েছে কেনিয়া। দেশটির রাজধানী নাইরোবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। কেনিয়া মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, নাইরোবির দুটি সরকারি হাসপাতাল আহতদের ভিড়ে উপচে পড়েছে। এদিকে সংসদ সদস্যরা অ্যাম্বুলেন্সগুলো নিরাপদ জায়গায় যাওয়ার জন্য নিয়ে গেছেন। এর ফলে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। রাজধানী নাইরোবি ছাড়াও দেশটির আরও কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে সহিংসতা ও নির্বিচারে আটক নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তার মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, বিক্ষোভে হতাহতের খবরে জাতিসংঘ মহাসচিবও অত্যন্ত দুঃখিত। নির্বিচারে আটকের ঘটনা নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করার জন্য মানুষের অধিকার সমুন্নত রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে মৃত্যুর সব ঘটনার যেন পূর্ণ ও সুষ্ঠু তদন্ত হয়। গুতেরেস কেনিয়ার পুলিশ ও কর্তৃপক্ষ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে সংযম প্রদর্শনের ও বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে, শুধু রাজধানী নাইরোবি নয়, নতুন এই আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়েই বিক্ষোভ হচ্ছে। কারণ এই প্রস্তাবের মাধ্যমে ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। গত সপ্তাহে আইনটির কিছু বিষয়ে সংশোধন করা হলেও, কেনিয়ার সাধারণ জনগণ এটি বাতিল চায়।
এমন পরিস্থিতিতে কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো দেশটির সেনাবাহিনীকে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনও প্রচেষ্টা ঠেকানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে এই বিক্ষোভকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন তিনি।