আলোর যুগ স্পোর্টসঃ সেমিফাইনাল ম্যাচ মানেই দুই দলের লড়াই। তবে কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনা-কানাডা ম্যাচে সেটি দেখা যায়নি। তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা একক আধিপত্য বিস্তার করে ২-০ গোলের জয়ে নিশ্চিত করে ফাইনাল। আর্জেন্টিনার পক্ষে সেমিফাইনালে গোলের দেখা পান মেসি এবং আলভারেজ। আর এক ম্যাচ জিতলেই বিশ্বকাপের পর আরও একটি শিরোপা নিজেদের করে নেবে মেসিরা। সর্বশেষ আট আসরে এটি আলবিসেলেস্তদের ষষ্ঠ ফাইনাল। কলম্বিয়া-উরুগুয়ের ম্যাচের জয়ীদের বিপক্ষে আগামী সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে শিরোপা জয়ের লড়াই নামবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
কানাডা প্রথমবারের মতো কোপা আমেরিকাতে অংশ নিয়ে চমক দেখিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল। বেশিরভাগই ধারণা করেছিল, অলৌকিক কিছু না ঘটলে তাদের স্বপ্নযাত্রা সেমিতেই থামবে। তবে ফুটবল মাঠে সবসময় অপ্রত্যাশিত কিছু হতে পারে, সেই আশায় মাঠে নেমেছিল কানাডা। নিউজার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে অলৌকিক কিছু ঘটেনি। আর্জেন্টিনা প্রমাণ করেছে কেন তারা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। লিওনেল মেসির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা সহজেই ২-০ ব্যবধানে কানাডাকে পরাজিত করে ফাইনালে উঠেছে।
ম্যাচের শুরুর কয়েক মিনিটেই কানাডা দুটি সুযোগ পেলেও তারা তা কাজে লাগাতে পারেনি। শ্যাফেলবার্গের দুটি শটই গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়। এরপর ১২ মিনিটে আর্জেন্টিনার প্রথম আক্রমণ আসে মেসির পা থেকে, তবে সেটিও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। কানাডার খেলোয়াড়রা পেশিশক্তির ব্যবহার করলেও আর্জেন্টিনা ঠাণ্ডা মাথায় খেলে যায় এবং প্রথম গোল পায় ২২ মিনিটে আলভারেজের পা থেকে। ডি পলের পাস থেকে আলভারেজ গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে গোল করেন।
৩৪ মিনিটে ডি মারিয়ার চিপ শট গোলপোস্টের উপর দিয়ে চলে যায়। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে ডেভিসের শট আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক মার্টিনেজ ঠেকিয়ে দেন। ফলে প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনা ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকে। দ্বিতীয়ার্ধে আর্জেন্টিনা তাদের দাপট বজায় রাখে এবং ৫১ মিনিটে মেসির সহায়তায় এনজো ফার্নান্দেজের জোরালো শট কানাডার জালে পৌঁছে যায়, ফলে ব্যবধান দাঁড়ায় ২-০। দ্বিতীয়ার্ধে কানাডা আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করেও আর্জেন্টিনার রক্ষণ ভাঙতে ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনাই ফাইনালে জায়গা করে নেয়, আর কানাডার সাহসী যাত্রা সেমিফাইনালেই থেমে যায়।