আলোর যুগ স্পোর্টসঃ প্রথম দুই ম্যাচ হেরে তলানিতে ছিল যে দল, টুর্নামেন্ট থেকে যাদের বিদায় মনে হচ্ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার, সেই দলই কঠিন সেই সমীকরণ মিলিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করলো। গায়ানায় বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে লাহোর কালান্দার্সকে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে ২৩ রানে হারিয়ে গ্লোবাল সুপার লিগের প্রথম আসরের ফাইনালে পৌঁছে গেল বাংলাদেশের প্রতিনিধি রংপুর রাইডার্স।
ম্যাচটি কার্যত রূপ নিয়েছিল সেমিফাইনালে। লাহোর কালান্দার্সের জন্য সমীকরণ ছিল সোজা, জিতলেই ফাইনাল। রংপুর রাইডার্সের জন্য জয়ের পাশাপাশি রান রেটের সামান্য সমীকরণ ছিল। তবে ব্যাটে-বলে দারুণ খেলে ছোট ম্যাচে বড় জয়ে ফাইনালে উঠে গেছে নুরুল হাসান সোহানের দল। প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে শেষ হওয়া ম্যাচে রংপুর ৯ ওভারে তোলে ৮৫ রান। এরপর বৃষ্টির কারণে আর ব্যাটিং করতে পারেনি। ঝড়ো ব্যাটিং উপহার দেন ক্রিজে যাওয়া তিন ব্যাটসম্যান স্টিভেন টেইলর, সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসান।
রংপুর মাত্র একটি উইকেট হারানোয় ডিএলএস পদ্ধতিতে লাহোরের লক্ষ্যটা দাঁড়ায় অনেক বড়, ৯ ওভারে ১১১। কিন্তু শেখ মেহেদির হাসানের প্রথম ওভারেই বড় ধাক্কা খায় তারা তিন উইকেট হারিয়ে। পরে চেষ্টা করেও তারা যেতে পারে কেবল ৮৭ রান পর্যন্ত। প্রভিডেন্সে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই মারকুটে ব্যাটিং শুরু করে রংপুর। সৌম্যর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৪.৫ ওভারেই পঞ্চাশ পূরণ করে দলটি। সৌম্য ১৩ বলে করেন ২২। ঝড় তুলেছেন সাইফ হাসানও। ১৪ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। আর ওপেনার স্টিভেন টেইলর ২৭ বলে অপরাজিত ছিলেন ৩২ রান করে।
বৃষ্টি আইনে ৯ ওভারে লাহোর কালান্দার্সের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১১১ রানের। শেখ মেহেদির তোপে ১৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে লাহোর। এর মধ্যে ৩টি উইকেট মেহেদির।
পরের দিকে মির্জা বাইগ, টম অ্যাবল আর শেষদিকে ফাহিম আশরাফের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে আশা জাগিয়েছিল লাহোর। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। বাইগ ২০ বলে ৩১, অ্যাবল ১২ বলে ২৫ করে আউট হন। ফাহিম আশরাফ ৯ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ৭ উইকেটে ৮৭ রানে থামে লাহোর। শেখ মেহেদি ২ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে নেন তিনটি উইকেট। ২ উইকেট জ্যাক চ্যাপেলের। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ফাইনালে রংপুরের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার দল ভিক্টোরিয়া।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রংপুর রাইডার্স: ৯ ওভারে ৮৫/১ (টেইলর ৩২*, সৌম্য ২২, সাইফ ২৭*; সালমান ২-০-২৬-১, ফাহিম ২-০-২২-০, আফ্রিদি ২-০-১৯-০, শামসি ২-১-১০-০, ওয়েলস ১-০-৭-০)।
লাহোর কালান্দার্স: (লক্ষ্য ৯ ওভারে ১১১) ৯ ওভারে ৮৭/৭ (ওয়েলস ০, রসিংটন ১, আখলাক ১১, ফাইজান ০, মির্জা ৩১, অ্যাবেল ২৫, ফাহিম ১৮*, ব্র্যাথওয়েট ০, আফ্রিদি ১*; শেখ মেহেদি ২-০-১১-৩, হারমিত ২-০-২০-০, রিশাদ , কামরুল ২-০-২২-১, চ্যাপেল ২-০-১৭-২)।
ফল: ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে রংপুর রাইডার্স ২৩ রানে জয়ী।
ম্যান অব দা ম্যাচ: স্টিভেন টেইলর।