আলোর যুগ স্পোর্টসঃ ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ৮৮ মিনিট পর্যন্ত পিছিয়ে ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তাদের কাঁদিয়ে তখন ফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখছিল বায়ার্ন মিউনিখ। কিন্তু হোসেলুর তিন মিনিটের ঝড়ে পাল্টে গেল সব। বদলি হয়ে নামা এই ফরোয়ার্ড জোড়া গোল করে উল্লাসে ভাসিয়ে তোলেন পুরো সান্তিয়াগো বার্নাব্যুকে। তাতে ভর করেই দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ অগ্রগামিতায় বায়ার্নকে হারিয়ে ফাইনালে নাম লেখায় রিয়াল মাদ্রিদ।
বার্নাব্যুর নব্বই মিনিট ঠিক কতটা দীর্ঘ আর নির্মম হতে পারে তাই যেন হারে হারে টের পেল বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার। পুরো ম্যাচে রিয়ালের আক্রমণভাগকে রুখে দিলেও, অসাধারণ সব সেভে নজর কাড়লেও, শেষদিকে করে বসেন শিশুসুলভ ভুল। যা বায়ার্নের পাশাপাশি নয়ারকেও হতাশায় ডুবিয়েছে।
নিজেদের ঘরের মাঠে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগোরা শুরু থেকেই বায়ার্নের রক্ষণে হানা দেয়। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়ার। রিয়ালের একের পর এক আক্রমণ ফিরিয়ে দেন অভিজ্ঞ গোলরক্ষক। রক্ষণ সামলে দ্বিতীয়ার্ধে এগিয়ে যাওয়ার গোল পেয়ে যায় বায়ার্ন। দুই লেগ মিলিয়ে যখন ৩-২ ব্যবধানে জয়ের পথে বায়ার্ন, তখনই শিশুসুলভ ভুল করে বসেন নয়ার।
ম্যাচের ৮৮তম মিনিটে ভিনিসিয়ুসের শটে বল নয়ারের বুকে লেগে হাত ফসকে বেরিয়ে যায়। সামনেই ছিলেন হোসেলু। এই স্প্যানিশ স্ট্রাইকার আলতো টোকায় জালে বল জড়ান। সমতায় ফেরে মাদ্রিদ ক্লাব। এরপর অতিরিক্ত সময়ে ফের একবার নয়ারকে হতাশ করেন হোসেলু। আর তাতে বার্নাব্যুতে ফের রুপকথার গল্প লিখল রিয়াল।
এমন পরাজয়ে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন এই ৩৮ বছর বয়সী গোলরক্ষক। ম্যাচ শেষে তিনি জানান, ‘যে কেউ কখনও ফুটবল খেলে থাকলে আমার মনের অবস্থা বুঝতে পারবে। ৮৮তম মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও হারতে হল। এটা খুব হৃদয়বিদারক। আমরা নিজেদের ফাইনালে দেখছিলাম কিন্তু এখন আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।’ এই হারে কোচ হিসেবে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে অপরাজিত থাকার রেকর্ড শেষ হল টুখেলের। আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মুখোমুখি শেষ ছয় লড়াইয়ে বায়ার্নের বিপক্ষে চতুর্থ জয় পেল রিয়াল, অন্য দুটি হয়েছিল ড্র।