আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা সেটি তদন্তের পর বলা যাবে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।
তিনি বলেছেন, ‘এখনই কোনো কিছু বলার সুযোগ নেই। তদন্ত চলছে।’ আজ শুক্রবার দুপুরে সচিবালয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বলেন, ‘এ অগ্নিকাণ্ড নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা— মন্তব্য করার মতো অবস্থা হয়নি। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে এসেছি। বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করছি। তদন্ত সাপেক্ষে বাকি কথা বলা যাবে।’
গত বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগে। মধ্যরাত ১টা ৫২ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। কয়েক মিনিটের মাথায় আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে ১৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। ৬ ঘণ্টার বেশি সময় পর গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আগুনে ওই ভবনে থাকা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনার পর এর কারণ অনুসন্ধানে প্রথমে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়। পরে সেটি বাতিল করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে আহ্বায়ক ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে সদস্য সচিব করে আট সদস্যদের নতুন কমিটি গঠন করে সরকার।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন— আইজিপি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক তানভীর মনজুর, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রাসেল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. ইয়াছির আরাফাত খান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. ইয়াসির আরাফাত খান।