
আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ ইরানে ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির প্রতিবাদে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা ও বাজার ব্যবসায়ীরা একাত্ম হয়ে এই প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন। পরিস্থিতি সামলাতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংলাপের প্রস্তাব দিয়েছে দেশটির সরকার। বার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ানের এক পোস্টে এ তথ্য জানা যায়। ওই পোস্টে তিনি বিক্ষোভকারীদের ‘ন্যায্য দাবি’ শোনার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন।একই সঙ্গে মঙ্গলবার ট্রেড ইউনিয়ন ও বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন পেজেশকিয়ান। সময় তিনি তাদের সমস্যা সমাধান ও উদ্বেগ দূর করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এক বক্তব্যে সরকারের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি বলেন, ‘বিক্ষোভকারীদের নেতার সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুতি চলছে। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিক্ষোভকে স্বীকৃতি দিচ্ছি। আমরা জানি, এটি মানুষের জীবনযাত্রার ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ থেকেই সৃষ্টি হয়েছে।’
তবে বিক্ষোভের নেতাদের সঙ্গে কীভাবে সংলাপ হবে, সে বিষয়ে সরকার এখনো কোনো পদ্ধতি সম্পর্কে জানায়নি। রাজধানী তেহরানের কেন্দ্রীয় এলাকায় সোমবার লোকজনকে জড়ো হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। মঙ্গলবারও তেহরানের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শত শত শিক্ষার্থী বিক্ষোভে অংশ নেন বলে আধা-সরকারি ফার্স নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেক ইরানি নাগরিক বিক্ষোভের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। সোরুশ দাদখাহ নামের একজন লিখেছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও দুর্নীতি মানুষকে আন্দোলনের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। মাসউদ ঘাসেমি নামের আরেকজন বলেন, এই বিক্ষোভ দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। শটিতে ডিসেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ দশমিক ৫ শতাংশে। ২০২৫ সালে মার্কিন ডলারের বিপরীতে রিয়ালের মূল্যও নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকে। এর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ও ইসরায়েলের সম্ভাব্য সামরিক হামলার হুমকিও দেশটির অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি করছে। জুন মাসে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর এটিই ইরানে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ বলে মনে করা হচ্ছে।
