আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ এক সময় মহাকাশে কোনো রকেট পাঠানো হলে রীতিমতো আলোড়ন তৈরি হতো। অথচ বর্তমানে মহাকাশে রকেট পাঠানো নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপারে রূপ নিয়েছে। এর পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্স। তারা এক বছরে সবচেয়ে বেশি রকেট পাঠিয়েছে। এবার ইলন মাস্কের এই কোম্পানিটির স্টারশিপ রকেটের একটি অংশ এই প্রথমবার লঞ্চ প্যাডে ফিরে এসেছে, যা বিশ্বে এবারই প্রথম। এরই মধ্য দিয়ে ইতিহাস গড়লো মাস্কের মহাকাশ যান স্পেসএক্স । খবর বিবিসির।
ঐতিহাসিক এক মুহূর্তের সাক্ষী হলো টেক্সাসবাসী। সফল হলো ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। স্থানীয় সময় রবিবার সফলভাবে উৎক্ষেপণ প্যাডে নিরাপদে অবতরণ করলো স্টারশিপ রকেটের সুপার হেভি বুস্টার। এদিন স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে টেক্সাসের বোকাচিকা মহাকাশ কেন্দ্র থেকে পঞ্চমবারের মতো রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। একপর্যায়ে এর দ্বিতীয় ধাপের মহাকাশযানটি আলাদা হয়ে ভারত মহাসাগরে পড়ে। আর সুপার হেভি বুস্টার ফিরে আসে স্পেসএক্সের সে টাওয়ারে।
পাঁচবারের প্রচেষ্ঠায় সফল হয়েছে স্পেসএক্স। এর আগে চারবার এ কাজে ব্যর্থ হয়েছে মহাকাশ নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্বে তৈরি হওয়া এ যাবৎকালের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট স্টারশিপের দুটি অংশ। একটি হচ্ছে ‘সুপার হেভি বুস্টার’ নামের তরল গ্যাসের জ্বালানিচালিত রকেট। আর অপর অংশটি হল ‘স্টারশিপ’ নামের মহাকাশযান- যা এই সুপার হেভি বুস্টারের ওপর বসানো আছে। স্টারশিপ রকেট ১০০ টনের বেশি যন্ত্রপাতি বা ১০০ জন আরোহী বহন করতে পারে। আর সুপার হেভি বুস্টারে আছে ৩৩টি ইঞ্জিন, যা মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার আর্টিমেস রকেটের চেয়ে দ্বিগুণ শক্তিশালী।
উৎক্ষেপণ টাওয়ারের রোবোটিক শাখা ‘চপস্টিক’ তখন বুস্টারটিকে ধরে ফেলে। আর সঙ্গে সঙ্গেই আনন্দ প্রকাশ করে এক্সে স্পেস এক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক লেখেন ‘টাওয়ার রকেটটিকে ধরে ফেলেছে!’ ইলন মাস্কের স্বপ্ন হল, অন্যগ্রহে মানুষের বসতি স্থাপন করতে যাওয়ার উপযোগী রকেট তৈরি করা। যা বার বার ব্যবহার করা যাবে এবং একেকবারে শ’খানেক মানুষকে মঙ্গলগ্রহ ও চাঁদে নিয়ে যাওয়া যাবে। তাই এর উপযোগী করেই বানানো হয়েছে স্টারশিপ রকেটকে।