আলোর যুগ স্পোর্টসঃ স্টিভেন স্মিথের আইপিএল পারফরম্যান্স সার্বিকভাবে খুব খারাপ নয়। তবে ২০২১ আসরে বাজে পারফরম্যান্সের পর ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে আর দেখা যায়নি তাকে। ফেরার ইচ্ছে অবশ্য তার প্রবলভাবেই আছে। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান স্পষ্ট করেই বললেন, বিশ্বের শীর্ষ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে আবার খেলতে চান তিনি।
আইপিএলে এখনও পর্যন্ত ৯ মৌসুম খেলেছেন স্মিথ। ১০৩ ম্যাচ খেলে ১ সেঞ্চুরি ও ১১ ফিফটিতে তার রান ৩৪.৫১ গড়ে ২ হাজার ৪৮৫। স্ট্রাইক রেট ১২৮.০৯। এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন তিনি ২০১৭ আসরে। রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টসের হয়ে তিনি সেবার ৩৯.৩৩ গড়ে করেন ৪৭২ রান। পরে তাকে সাড়ে ১২ কোটি রুপিতে দলে নেয় রাজস্থান রয়্যালস। ২০১৮ আসরে তিনি খেলেননি। রাজস্থানের হয়ে পরের দুই মৌসুমে পারফরম্যান্স খুব একটা খারাপ ছিল না। ২০১৯ আসরে রান করেন ৩১৯, ২০২০ আসরে ৩১১। কিন্তু দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে ২০২১ আইপিএলে একদমই ভালো করতে পারেননি। সেবার ৮ ম্যাচে ১৫২ রান করেন কেবল ১১২.৫৯ স্ট্রাইক রেটে। ছিল না কোনো ফিফটি।
আইপিএলে এখনও পর্যন্ত তার শেষ আসর সেটিই। গত আসরে নিলামে নাম লেখালেও ২ কোটি রুপি ভিত্তিমূল্যের ব্যাটসম্যান অবিক্রিত রয়ে যান। পরে বিশ্লেষক হিসেবে টিভিতে কাজ করেন তিনি। তবে সামনের আসরে স্টুডিওতে নন, ব্যাট হাতে ২২ গজেই থাকতে চান তিনি। কোড স্পোর্টসকে সেই আশার কধাই শোনালেন ৩৫ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। স্মিথ বলেন, “অবশ্যই আবার আইপিএলের অংশ হতে পারলে দারুণ লাগবে আমার, নিশ্চিতভাবেই। চাইব আমরা নামটা যেন বিবেচনায় থাকে (দলগুলির)। সেজন্য প্রচুর রান করে যেতে হবে। কে জানে, সুযোগ আসতেও পারে। দেখা যাক।”
সামনেই আইপিএলের মেগা নিলাম। স্মিথের তাই সম্ভাবনা কিছুটা আছে। তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজির আগ্রহ তাকে নিয়ে আছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবরও প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি দলেও জায়গা হারিয়েছেন স্মিথ। গত বিশ্বকাপের দলে তাকে রাখা হয়নি। যে পথে এগোচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি দল, তাতে ভবিষ্যতে এই সংস্করণে তার সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা আপাতত কমই মনে হচ্ছে।
স্মিথ নিজেও সেটি নিয়ে অনিশ্চিত। বিশ্বকাপ দলে জায়গা না পাওয়ার হতাশাও তিনি জানিয়ে রাখলেন। স্মিথ বলেন, “আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফেরা নিয়ে কিছু আমি জানি না। এটা নিয়ে নির্বাচকদের জিজ্ঞেস করতে পারেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা না পেয়ে অবশ্যই হতাশ হয়েছিলাম। তবে এরকম হতেই পারে, তারা (নির্বাচকরা) বিগ হিটারদের দলে নিতে চেয়েছিল।”