
আলোর যুগ প্রতিনিধিঃ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনে বিএনপির প্রার্থী তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের তরুণ ও যুবসমাজকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে।
তিনি বলেন, আমি প্রথমেই শহীদ ওসমান হাদির মাগফেরাত কামনা করছি। জুলাই আন্দোলনে যেসব তরুণ ভাইদের হারিয়েছি তারা বাংলাদেশের সম্পদ। ইন্টারনেটের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সদস্যদের একত্র করা সম্ভব হয়েছে। ডিজিটাল স্তম্ভ হচ্ছে ইন্টারনেটের অবাধ ব্যবহার। এতে উপকৃত হবে শিক্ষার্থীরা। আগামী দিনে বিএনপি যদি সরকার গঠন করে তাহলে যারা বিভিন্ন অনলাইন পেশায় জড়িত তাদের সুবিধা তৈরি করে দেওয়াটা হবে আমাদের লক্ষ্য। অতীতেও ধ্বংসের কিনারা থেকে দেশকে রক্ষা করেছে বিএনপি, এবারও করবে। তবে সামনে কঠিন সময় আসছে, তাই আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের ৩১ দফাকে মূল ৭টি দফায় নিয়ে এসে তা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করা হবে। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষার পাশাপাশি চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। সারাদেশে ১ লাখ নারী স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করা হবে। যুবসমাজের জন্য ভাষা শিক্ষা দিবো, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে জনশক্তিতে রূপান্তরিত করা হবে। পাশাপাশি যাদের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার ব্যয়বহুল মনে হবে তাদের জন্য ফ্রি ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রবিবার বিকালে বগুড়া শহরের শহীদ টিটু মিলনায়তনে জেলা বিএনপি আয়োজিত জুলাই শহীদদের স্মরণে ডিজিটাল স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা। বগুড়া জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মোশারফ হোসেনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র এড. একেএম মাহবুবুর রহমান, কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র-সহ সভাপতি ও সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, সাবেক শিক্ষাবিদ একেএম ওয়াহিদুজ্জামান, সাবেক এমপি গোলাম মো. সিরাজ, আলহাজ কাজী রফিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা ভিপি সাইফুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন চান, আলী আজগর তালুকদার হেনা, এডভোকেট হামিদুল হক চৌধুরি হিরু, যুবদল নেতা আবু হাসান প্রমুখ।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে আরও বলেন, ডিজিটাল স্মৃতিম্ভম্ভের অংশ হিসেবে প্রাথমিক পর্যায়ে বগুড়া শহরের কেন্দ্রবিন্দু সাতমাথা ও সরকারি আজিজুল হক কলেজসহ ২০টি জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে সর্বস্তরের মানুষের জন্য ‘ফ্রি ওয়াই-ফাই’ সুবিধা চালু করা হয়েছে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, পর্যায়ক্রমে জেলার আরও ৪০টি স্থানে এই সুবিধা সম্প্রসারণ করা হবে।
জুলাই আন্দোলনের শহীদ ও যোদ্ধাদের পাশাপাশি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখতে দেশ গড়ার কাজে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
তারেক রহমান আরও বলেন, দেশ এখন স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্ত। এই স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হলে ধ্বংস্তপ থেকে দেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে। জেলা বিএনপির বর্তমান ও সাবেক শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে এই সভা এক সময় জনসমুদ্রে রূপ নেয়। অনুষ্ঠানে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া পরিবারগুলোর সদস্য এবং আন্দোলনের আহত যোদ্ধারাও অংশ নেন।
