ভারত ও বাংলাদেশ যৌথ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য… প্রণয় ভার্মা

0
13

আলোর যুগ রিপোর্ট:

ভারতীয় হাই কমিশন প্রণয় ভার্মা  বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।এরই ধারাবাহিকতায় যোগ আমাদের জনগণের মধ্যে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার প্রচার করে একীভূতকারী শক্তি হিসেবে কাজ করতে পারে।চলতি বছরের যোগ দিবস উদ্‌যাপনের মূল সুর হলো ‘বসুধৈব কুটুম্বকমের জন্য যোগ’, যা এই বছর ভারতের জি২০-র প্রেসিডেন্সির সঙ্গে গভীরভাবে অনুরণন ঘটায়। যোগব্যায়াম হলো এমন একটি অনুশীলন যা আধুনিক জীবনের প্রতিকূলতাসমূহ সফলভাবে মোকাবিলা করার জন্য মানসিক স্থিতিশীলতার সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্য প্রদান করে।

গত বুধবার (২১ জুন ২০২৩) ঢাকার মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের যোগব্যায়ামপ্রেমীদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদ্‌যাপনে তিনি উপস্থিত থেকে এই মন্তব্য করেন।এই আয়োজনে বিশাল জনসমাগম ঘটে, যেখানে সমাজের বিভিন্ন স্তরের অংশগ্রহণকারীগণ ভারতে উদ্ভূত যোগের প্রাচীন এই বিজ্ঞান উদ্‌যাপন করতে একত্রিত হয়েছিলেন।

হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা তাঁর বক্তব্যে  আরো বলেন,বিশ্বের কাছে ভারতের উপহার হিসেবে যোগের তাৎপর্য অনেক গুরুত্ব বহন করে। ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে যোগ আমাদের জনগণের মধ্যে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার প্রচার করে একীভূতকারী শক্তি হিসেবে কাজ করতে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, ২০২৩ সালে ভারতের জি২০ প্রেসিডেন্সি টেকসই উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক অংশীদারত্বকে উৎসাহিত করার জন্য ভারতের প্রতিশ্রুতিকে জোরদার করে এবং যোগ হলো এই ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি অনুঘটক।বিশাল এই আয়োজনে যোগ অনুশীলনকারী ও বিশেষজ্ঞগণের নেতৃত্বে যোগ অনুশীলন প্রদর্শন করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারীগণের জন্য এই প্রাচীন বিদ্যা ও এটির রূপান্তরমূলক প্রভাব সম্পর্কে তাঁদের উপলব্ধি বৃদ্ধি করে বিভিন্ন যোগ অনুশীলনে জড়িত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ।ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বানে সাড়া দিয়ে, বিগত ১১ ডিসেম্বর ২০১৪-এ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। যোগব্যায়াম ও স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন কার্যকলাপ ও কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালিত হয়। এটি গত নয় বছর ধরে পালিত হয়ে আসছে, যার ফলশ্রুতিতে যোগ সারা বিশ্বে বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী সময়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য আন্দোলন হিসেবে জনপ্রিয়  হচ্ছে।