ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্টের ৩ বছরের কারাদণ্ড

0
9


আলোর যুগ ডেস্ক :-
ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগে ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন প্যারিসের একটি আদালত। আজ সোমবার দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় দেশটির সাবেক এ প্রেসিডেন্টকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর ফলে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগে প্রথমবারের মতো সাজা পেলেন কোনো ফরাসি প্রেসিডেন্ট।

৬৬ বছর বয়সী সাবেক এ ফরাসি প্রেসিডেন্ট ২০০৭ থেকে ২০১২ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। সে সময় তিনি তার আইনজীবী ও একজন সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে আইন ভঙ্গ করার একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন। পরে এ বিষয়ে আদালতে মামলা করা হয়। আদালতের রায়ে দুই বছরের সাজা স্থগিত করা হয়েছে। কারাগারে না গিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট বাড়িতে থেকেও দণ্ড ভোগ করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে শরীরে একটি ইলেক্ট্রিক ট্যাগ পরতে হবে তাকে। রায়ে বিচারক বলেছেন, সারকোজি জানতেন তিনি যা করছেন তা ভুল। তার এবং আইনজীবী হারজগের কর্মকাণ্ড জনগণের কাছে বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে খুব বাজে ছবি উপস্থাপন করেছে।

এ ছাড়া ২০০৭ সালের নির্বাচনী প্রচারের জন্যই লিবিয়া থেকে অর্থ সাহায্য নেওয়ার অভিযোগ ওঠে সারকোজির বিরুদ্ধে। সেই তদন্তের সূত্র ধরে ২০১৩ সাল থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং তার আইনজীবী থিয়েরি হারজগের কথোপকথনে আড়ি পাততে শুরু করেন তদন্তকারীরা। সেই তদন্তে উঠে আসে, ভুয়া পরিচয়ে কেনা মোবাইলে কথা হয় দুজনের। তদন্তকারীরা জানান, সারকোজির মোবাইলটি রেজিস্ট্রি করা ছিল পল বিসমুথ নামে। তদন্তে আরো উঠে আসে, বেটেনকোর্টের থেকে অর্থ সংগ্রহের মামলা সম্পর্কিত গোপন তথ্য আজিবার্টের থেকে নেওয়ার বিষয়ে বহুবার আলোচনা হয় সারকোজি-হারজগের।

নিজের রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে একটি তদন্তের গোপন তথ্যের বিনিময়ে ম্যাজিস্ট্রেট গিলবার্ট আজিবার্টকে বিদেশে লোভনীয় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন সারকোজি। তবে সাবেক এ ফরাসি প্রেসিডেন্ট বরাবরই তার বিরুদ্ধে আনা যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে এসেছেন। আসামিপক্ষের তিনজনই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানা গেছে। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান, এবিসি নিউজ