আলোর যুগ রিপোর্ট,জাবি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ফজিলাতুন্নেসা হলের সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট ফাতেমা বেগম কোনো অফিস আদেশ ছাড়াই ‘পরিত্যক্ত’ বলেসহল গ্রন্থাগারের মুল্যবান বই বিক্রি করে দিয়েছেন। ওই হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ টি এম আতিকুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত শনিবার ফজিলাতুন্নেসা হলের মূল ফটকের সামনে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পানধোয়া এলাকার জনৈক ব্যবসায়ীর কাছে হল গ্রন্থাগারের বই বিক্রির এই ঘটনা ঘটে। এ ছাড়াও একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে ঘটনার বিবরণ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ টি এম আতিকুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘটনাটি আমি পরে জানতে পেরেছি। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে শিগগিরই তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। হলের বই বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ। এভাবে কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ বিক্রি করে দিতে পারে না। কোনো অফিস আদেশ ছাড়াই হলের মূল্যবান বই বিক্রি করে তিনি অপরাধ করেছেন। দ্রুতই তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ হলের নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর তপন চন্দ সরকার বলেন, ‘ফাতেমা বেগম আমাকে বই বিক্রির ১১৫০ টাকা দিতে আসেন। তখন আমি জানতে পারি প্রাধ্যক্ষ স্যারের অনুমতি ছাড়াই তিনি হলের গ্রন্থাগারের বই বিক্রি করেছেন। তাই আমি টাকা গ্রহণ করতে অপারগতা প্রকাশ করি।’ ফজিলাতুন্নেসা হলের প্রহরী মো. রাসেল হোসেন বলেন, ‘আমি ভেতরে গিয়ে দেখি হলের দুজন সিক গার্ল (শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হলে দেখভাল করেন) বস্তায় ভরে গ্রন্থাগারের বই বের করছেন। তাঁদেরকে জিজ্ঞেস করলে তাঁরা বলেন ফাতেমা বেগম তাঁদেরকে বই বের করতে বলেছেন। ফাতেমা বেগম নিজে উপস্থিত থেকে হলের গ্রন্থাগারের বই বিক্রি করে দেন।’ অভিযুক্ত সহকারী হল সুপারিনটেনডেন্ট ফাতেমা বেগমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ১৫ বছর ধরে ডাইনিংরুমে বইগুলো পড়ে ছিল। উইপোকা ধরে একটা পর্যায়ে আলমারিসহ নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। ডাইনিংরুমে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের থাকার জায়গা না হওয়ায় আমি প্রাধ্যক্ষ স্যারের অনুমতি নিয়ে আলমারির তালা ভেঙে বইগুলো বের করি। ভেতরে কী ধরনের বই ছিল তা আমি জানতে পারিনি। পরিত্যক্ত ভেবেই আমি সেগুলো বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রয়োজনীয় বই হলে আমি কখনোই তা বিক্রি করতাম না। বিষয়টি আমি বুঝতে পারিনি।
- Featured News
- Just IN
- জেলার খবর
- দেশজুড়ে
- প্রধান সংবাদ
- বিনোদন
- শিল্প-সাহিত্য
- শীর্ষ সংবাদ
- সব খবর
- সোশ্যাল মিডিয়া